আজ ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

আগামিকাল বঙ্গবন্ধু টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী


দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল জানুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে টানেলের ৯৪ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমকালো উদ্বোধনের আগে আগামীকাল সরকার টানেলের দক্ষিণ টিউবের নির্মান কাজের সমাপ্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস চট্টগ্রামে উদযাপনের স্থান পরিদর্শন করেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আহমদ কায়কাউস জানান, ‘ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ৯৪ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে টানেলের সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই টানেলটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে কায়কাউস বলেন, টানেলটি জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ০ দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, টানেলটি চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের মানুষ পদ্মা সেতুর পর আরেকটি মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

সেতু বিভাগের সচিব মো: মনজুর হোসেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেলটি বাংলাদেশের গর্ব, মর্যাদা এবং একটি মেগা কাঠামো সম্পন্ন করার সক্ষমতার প্রতিফলন ঘটাবে।

তিনি বলেন, ‘এক নগর, দুই শহর’ নকশার ভিত্তিতে চীনের সাংহাই নগরীর মতো বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে নির্মাণ করার প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
মঞ্জুর বলেন, টানেলের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্কে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কর্ণফুলী টানেল দিয়ে আনোয়ারা ক্রসিং হয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে । এতে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি চাকায় গতি সঞ্চারিত হবে এবং জীবনযাত্রার মান ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর